মিরসরাই ব্লগে আপনাকে স্বাগতম

Tuesday, June 26, 2012

পারভীনের ঘর যেন মাদকের মালখানা

ইয়াবা ট্যাবলেট, ফেনসিডিল, মদসহ নানা মাদকের জোগান দেয় স্বামী; আর ঘরে বসে নির্দ্বিধায় এসব বিক্রি করে স্ত্রী। স্ত্রী নিজের হাতে ঘরে বসে তৈরি করে হেরোইনের পুরিয়া, মদের পোঁটলা, গাঁজা! মিরসরাইয়ের বারইয়ারহাট পৌরসভার উত্তর সোনাপাহাড় গ্রামে সেলিমের বাড়িতে এমন চিত্র ধরা পড়েছে কালের কণ্ঠের অনুসন্ধানে। সেলিমের স্ত্রী পারভীন মাদক রাজ্যের মহারানি। মাদকসেবী ও ক্রেতাদের কাছে এক নামে পরিচিত পারভীন। সম্প্রতি এক ক্রেতাকে সঙ্গে নিয়ে তার বাড়িতে গেলে দেখা যায় নানা কীর্তি। উত্তর সোনাপাহাড় গ্রামে পুরাতন মহাসড়কের মঈন উদ্দিন চৌধুরী ফিলিং স্টেশন থেকে ২০০ গজ পুবে তার ঘর। বাড়ির বাইরে থেকে বোঝার উপায় নেই এখানে মাদকের কারবার চলে। এ প্রতিবেদককে দেখে প্রথমে ঘাবড়ে যায় পারভীন। সে বলে, 'আপনাকে তো সিআইডির মতো মনে হচ্ছে। আপনার লক্ষণ তো বুঝতেছি না।' কিছুক্ষণ পর সে বলে, 'আপনি মনে কইরেন না যে আমি ভয় পাচ্ছি। পুলিশ, আর্মি, র‌্যাব; কোনো কিছুকেই আমি ভয় পাই না। পুলিশ তো কয়েক দিন পর পরই আসতেছে। কিছু টাকা দিলে চলে যায়।

Monday, June 25, 2012

মৃত সাইফুল এর লাশ উদ্ধার

চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে একটি খাল থেকে নিখোঁজ যুবক সাইফুল ইসলামের (২৮) লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। খুনের পর লাশ খালের স্রোতে ভেসে প্রায় চার কিলোমিটার যাওয়ার পর একটি বাঁশের সঙ্গে আটকে যায়।
আজ রবিবার (২৪ জুন) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে উপজেলার ৩ নম্বর জোরারগঞ্জ ইউনিয়নের ঘরতাকিয়া এলাকায় খালে এলাকাবাসী সাইফুলের লাশ ভাসতে দেখে পুলিশে খবর দেয়।
রাত সাড়ে ৭টায় এ রিপোর্ট লেখার সময় ঘটনাস্থল থেকে পুলিশের লাশ উদ্ধার কাজ চলছিল। মিরসরাই থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাহবুব মিলকী কালের কণ্ঠকে বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হবে।
নিহত সাইফুল দক্ষিণ সোনাপাহাড় গুচ্ছগ্রাম এলাকার কামাল উদ্দিনের ছেলে। কামাল এ ব্যাপারে গতকাল শনিবার পাঁচজনকে আসামী করে খুনের উদ্দেশ্যে অপহরণ মর্মে একটি মামলা দায়ের করেন।

গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর দফায় দফায় বিমান হামলা

ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত একফিলিস্তিনির দাফনের সময় কাঁদছে তাঁর স্বজনেরা(এএফপি.)
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার বিভিন্ন স্থানে গত দুই দিনে দফায় দফায় বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এতে তিন ফিলিস্তিনি নিহত ও ২৬ জনের মতো আহত হয়েছে। হামলার এসব ঘটনা মিসরের মধ্যস্থতায় দুই পক্ষের মধ্যে অনানুষ্ঠানিক যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টায় এক বড় হুমকি সৃষ্টি করেছে।
ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও অন্য সূত্রগুলো জানায়, গত শুক্রবার দুপুরের পর থেকে গতকাল শনিবার সকাল পর্যন্ত গাজার পূর্বাঞ্চলীয় খান ইউনিস এবং মধ্য ও উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় হামাসের সশস্ত্র শাখা ইজ্জেদিন আল-কাসাম ব্রিগেডের শিবির লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এ সময় গাজা সিটিতে হামাসের সাবেক এক নিরাপত্তা ফাঁড়ি লক্ষ্য করেও বিমান হামলা চালানো হয়। হামলায় তিনজন নিহত ও অন্তত ২৬ জন আহত হয়েছে। নিহত লোকজনের মধ্যে একটি শিশুও রয়েছে।
ইসরায়েলি কর্মকর্তারা এএফপিকে জানান, বিমান হামলার জবাবে ফিলিস্তিনিরা দক্ষিণ ইসরায়েলে কমপক্ষে ২৩টি রকেট নিক্ষেপ করে। অধিকাংশ রকেট গাজা সীমান্তবর্তী সেরত শহরে আঘাত হানে। এতে এক ইসরায়েলি আহত হয়।
ফিলিস্তিনের হাসপাতাল সূত্রগুলো জানায়, শুক্রবার দুপুরের পর গাজার মধ্যাঞ্চলীয় আল-বুরেইজ এলাকার পূর্বাংশে বিমান থেকে প্রথম দফায় গোলাবর্ষণ করা হয়। এতে বাসেল আহমেদ (২৯) নামের এক ব্যক্তি নিহত হন। কোনো দলের সঙ্গে তাঁর সংশ্লিষ্টতার কথা জানা যায়নি। এ ঘটনায় আহত হয় দুজন। তাদের একজনের অবস্থা গুরুতর। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বলেছে, গাজার মধ্যাঞ্চল থেকে ইসরায়েলের অভ্যন্তরে রকেট ছোড়ার আগমুহূর্তে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে লক্ষ্য করে ওই বিমান হামলা চালানো হয়েছে।
দ্বিতীয় দফায় বোমাবর্ষণ করা হয় সন্ধ্যায় গাজার উত্তরে। এতে হাম্মাম আবু কাদুস (২০) নামের এক ব্যক্তি গুরুতর আহত হয়ে পরে মারা যান। এ ঘটনায় আহত হয় আরও দুজন।
সেনাবাহিনী আরও বলেছে, ইসরায়েলের আশকালন এলাকায় রকেট নিক্ষেপের পর গাজার উত্তরে ওই বিমান হামলা চালানো হয়েছে। শুক্রবার সকালে গাজা থেকে ছোড়া দুটি রকেট ইসরায়েলের অভ্যন্তরে আঘাত হানে। তবে এতে কেউ হতাহত হয়নি।
মিসরের মধ্যস্থতায় ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ ও গাজার শাসকগোষ্ঠীর যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা চলা অবস্থায় এ সহিংসতার ঘটনা ঘটল। গাজার ভেতর ও বাইরে ইসরায়েলি সেনা এবং হামাস সদস্যদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর বুধবার রাতে ইজ্জেদিন আল-কাসাম ব্রিগেড একতরফা যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেয়। সোমবার থেকে ওই যুদ্ধবিরতি ঘোষণার আগ পর্যন্ত ইসরায়েলে ১৩০টির বেশি রকেট ও মর্টারের গোলা নিক্ষেপ করে হামাস।
দুই পক্ষের মধ্যকার সর্বশেষ পাল্টাপাল্টি হামলার সূচনা হয় সোমবার সকাল থেকে। এর আগে মিসরের সঙ্গে ইসরায়েলের দক্ষিণ সীমান্তে কয়েকজন বন্দুকধারীর অতর্কিত আক্রমণে এক ইসরায়েলি বেসামরিক ব্যক্তি নিহত হয়। তবে সীমান্তের এ ঘটনার সঙ্গে বিমান হামলার কোনো সম্পর্ক নেই বলে জানিয়েছে ইসরায়েল। (সংবাদ প্রথম আলো) (এএফপি)
Read  প্রথম আলো Click Here!

Sunday, June 24, 2012

মীরসরাইয়ের মিঠানালায় আগুনে পুড়ে মারা যাওয়া ব্যক্তির লাশ পরিদর্শন করছেন ১০নং ইউ.পি. চেয়ারম্যান আবু তাহের ভূইয়া ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা।

আগুনে পুড়ে মিরসারইয়ে এক বৃদ্ধের মৃত্যু

চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলায় গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাতে বসত ঘরে আগুন লাগার ঘটনায় মো. জামাল উল্লাহ (৭৫) নামের এক বৃদ্ধ মারা গেছেন।
গতকাল রাত তিনটার দিকে মিঠানালা ইউনিয়নের বোর্ড অফিসসংলগ্ন এলাকার সিরাজ উদদৌলার বাড়িতে এই অগ্নি সংযোগের ঘটনা ঘটে। আগুন লাগার কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
প্রথম আলো ডটকমকে দেওয়া সিরাজ উদ দৌলার স্ত্রী শিরিন আখতারের ভাষ্য, তাঁর স্বামী ঢাকায় চাকরি করেন। গতকাল রাতে তিনি, তাঁর মেয়ে সানজিদা, মা জমিলা খাতুন ও বাবা জামাল উল্লাহ ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন। রাত তিনটার দিকে ঘরে আগুনের ধোঁয়া ও গন্ধে তাঁদের ঘুম ভেঙে যায়। শিরিন, সানজিদা ও জমিলা দৌড়ে ঘর থেকে বের হতে পারলেও ভেতরে আটকা পড়েন জামাল উল্লাহ। তিনজনের চিত্কারে আশপাশের লোকজন বালতি দিয়ে পানি ঢেলে ঘরের আগুন নেভায়। জামাল উল্লাহ ঘর থেকে বের হতে না পারায় আগুনে পুড়ে মারা যান। খবর পেয়ে আজ সকালে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। সকাল সাড়ে আটটা থেকে তাঁরা জামাল উল্লাহর লাশ উদ্ধারের চেষ্টা করছে।
শিরিন আখতারের দাবি, পূর্বশত্রুতার জের ধরে পাশের একটি জমির মালিক নূরজাহান তাঁদের ঘরে আগুন দিয়েছে। এর আগে তাঁর বিরুদ্ধে থানায় তিনটি মামলাও করেছিলেন নূরজাহান।
আগুন লাগার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে মিরসরাই থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবুল খায়ের প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, এ ব্যাপারে তদন্ত চলছে।
(সংবাদ প্রথম আলো)

Saturday, June 23, 2012

ছরায় ফেলে এক যুবককে হত্যা

মিরসরাইয়ে এক যুবককে মাদক সেবন করিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে ছরার পানিতে ফেলে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি উপজেলার জোরারগঞ্জ ইউনিয়নের দক্ষিন সোনাপাহাড় নামক গ্রামে ঘটে। ঘটনায়পুলিশ ৩জনকে আটক করেছে। পুলিশ এখনও লাশ উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছে।
বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যায়, শনিবার রাত ১টায় উপজেলার দক্ষিন সোনাপাহাড় গ্রামে কিছু যুবকদের মধ্যে স্বার্থ সংস্লিষ্ট দ্বন্ধে ৫ বন্ধু মিলে সাইফুল ইসলাম (২৮) নামে ঐ যুবককে গুচ্ছগ্রাম ছরার পাড়ে নিয়ে মদ খাইয়ে মাতাল করে পিটিয়ে হত্যা করে লাশ  ছরায় ফেলে দিয়ে আসে। মীরসরাই থানার এস আই মাহবুব মিল্কি গোপন ভিত্তিতে খবর পেয়ে ৫হত্যাকারী থেকে তিন হত্যাকারীকে আটক করা হয়। আটককৃতরা হল  নুর মোহাম্মদ মিঠু (২৮), সোলায়মান বাদশা (৩২) ও সেলিম উদ্দিন (২৯)। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে লাশ খুজে বের করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। এই রিপোর্ট পর্যন্ত পুলিশ এখনো লাশ উদ্ধার করতে পারেনি। মিরসরাই থানার এসআই মাহবুব জানান, হত্যার প্রকৃত তথ্য সম্পর্কে শীঘ্রই নিশ্চিত হওয়া যাবে। তিনি আরো জানান ছরায় যখন লাশ ফেলা হয়েছিল তখন পানি ছিল না। সকালে বৃষ্টি হবার কারনে লাশটি হয়তো সেই স্থানে নাই, তাই  খুঁজে পেতে কষ্ষ্ট হচ্ছে। তবে আশা করা যাচ্ছে শীঘ্রই লাশ পাওয়া যাবে। প্রকৃত রহস্য বের করতে পুলিশও যথেষ্ট তৎপর বলে জানান ওসি ইফতেখার।